ফ্রিলান্সিং মূলত একটি ভিন্নমূখী কাজ, এখন এই কাজ কার জন্য ভালো , আসলে কাজ এর প্রথম শর্ত হল কাজের প্রতি আগ্রহ ও কাজটি শেখা ও করার জন্য চেষ্টা, এসব থাকলে ফ্রিলান্সিং ও করতে পারে যে কেউ। তবে কিছু পর্যায়ের মানুষ আছে যাদের জন্য ফ্রিলান্সিং হল উত্তম পেশা, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নারী, এছারা আছে যেমনঃ
- যারা পড়াশোনা সম্পূর্ণ করতে পারেন নি, কিন্তু ইংরেজি কিছুটা বোঝেন এবং কাজ জানেন, তাদের জন্য উত্তম পেশা হতে পারে ফ্রিলান্সিং।
- যারা পড়াশোনা শেষে বসে আছেন, কোন কাজ পাচ্ছেন না, হতাশা গ্রস্থ না হয়ে, ফ্রিলান্সিং ট্রেইনিং নেওয়া শুরু করেন, এখন ফ্রিলান্সিং নিয়ে অনেক ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা সরকার ও করছেন, সেগুলোতে যোগ দিন, কাজ শিখুন।
- এছারা যারা, ফ্রিলান্সিং এর সাথে জরিত নানান ধরনের কাজে আগে থেকেই কোন লোকাল প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন এবং আগে থেকে অভিজ্ঞতা থাকার কারণে আপনার জন্য ফ্রিলান্সিং পেশা ভালো হতে পারে।
নারীদের জন্য ফ্রিলান্সিং!
নারীদের জন্য ফ্রিলান্সিং উত্তম একটা পেশা, কারণ বেশিরভাগ নারী এখনো পড়াশোনা জানলেও কিছু করতে পারছেনা কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংসার আর এসব সামলাতে অনেক সময় চলে যায়, কারো কারো স্বামী এটা মেনেয় নেই না যে তার অর্ধাঙ্গী কোথাও বের হোক চাকরি করার জন্য। তাই সব কিছুর উপর ভিত্তি করে যদি নারীদের ফ্রিলান্সিং শেখানো যায়। তাহলে তাদের জন্য সবথেকে ভালো মানের কাজ হতে পারে এটা। বাসায় বসেই কাজ করতে পারবে তারা।
নারীদের ফ্রিলান্সিং বিষয়ে আগ্রহী করতে নানা প্রকার পদক্ষেপ নেওয়া যাইতে পারে। যেমনঃ
- ছোট্ট থেকেই কর্মমূখী শিক্ষা বা কারিগড়ি শিক্ষা প্রদান।
- পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার ট্রেইনিং নেওয়া, বিশেষ করে ফ্রিলান্সিং রিলেটেড যেসব ট্রেইনিং।
- নিজেকে ছোট্ট করে ভাবার প্রবণতা থাকে কিছু নারীদের ভিতরে তাদের এটা বোঝানো ফ্রিলান্সিং এর গুরুত্ব ও কিভাবে ফ্রিলান্সিং করা যেতে পারে।
- দেখা যায় কিছু সংখ্যক নারী সোস্যাল মিডিয়া নিয়ে অনেক বেশি সময় দেয়, তারা বোঝে যে কোথায় কোন ব্যাপার শেয়ার করলে ফলাফল কেমন আসে, কিন্তু তারা হয়তো এটা জানেন নাহ, ফ্রিলান্সিং এ সোসাল মার্কেটিং নামে একটা কাজ আছে যা দ্বারা তারা একই কাজ করে আয় করতে পারে ফ্রিলান্সিং করে। শুধু তাদের কে সেটা শেয়ার করতে হবে, বায়ার যেটা দিবে, হয়তো কোন পণ্য বা কোন ওয়েবসাইট।
কিভাবে ফ্রিলান্সিং করবেন এবং শিখবেন, তা নিয়ে থাকবে ব্যাপক আলোচনা, সাথে থাকুন। এবং ডান পাশে নিচে থাকা লাল বাটন এ সাবস্ক্রাইব করে নোটিফিকেশন অন করে নিন পরবর্তী পোষ্টের আপডেট পেতে।
বেকার যুবকদের জন্য ফ্রিলান্সিং!
আসলে কেউ হয়তো বলে যে, বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছো ফ্রিলান্সিং করলেই তো পারো, হয়তোবা কেউ আশেপাশে ফ্রিলান্সিং করছে, তাই আবার এই একই কথা বলা হল সেই বেকার ছেলেটিকে, আসলেই কি ফ্রিলান্সিং একজন বেকার ছেলেকে কাজের আশা দেখাতে সক্ষম, অবশ্যই ফ্রিলান্সিং দিয়ে বেকারত্ব কমানো সম্ভব।
কিন্তু অনেক এ মনে করেন, একজন ফ্রিলান্সার কে দেখে, যে এই ছেলে সারাদিন রাত শুধু কম্পিউটার নিয়ে পড়ে আছে, কাজ তো করেনা, বসে কম্পিউটার চালায় আর আয় করে, সে হিসেবে কাজটা মনেহয় সহজ। সে হিসেবে বিবেচনা করে কোন বেকার ছেলে ফ্রিলান্সিং করার সপ্নে একটি কম্পিউটার কিনে বসলেই কি ফ্রিলান্সার হয়ে যেতে পারবে?
সব কথার মূল কথা হল, ফ্রিলান্সার হতে হলে অবশ্যই কম্পিউটার লাগবে, সাথে ইন্টারনেট সংযোগ আর একই সাথে জানতে হবে কাজ, তবেই পারবে একজন বেকার ছেলে ফ্রিলান্সার হতে।
সবার জীবনে ফ্রিলান্সিং এর গুরুত্ব!
ফ্রীলান্সিং এমন একটি কাজ যে কাজটি জানা সবার জন্যই ভালো, ধরুন সমাজে থাকতে আপনি কোথাও না কোথাও কাজ করছেন, এখন যদি এই ফ্রিলান্সিং করেন সেই কাজের পাশাপাশি, সেটা কিন্তু সম্ভব, পাশাপাশি এই মহামারির যে দিন গুলো গেলো তাতে ফ্রিলান্সিং যদি জানা থাকতো আপনার হয়তো অনেক সুখেই যাইতো সময়। এর থেকেও বড় ব্যাপার হল ধরুন আপনি কোন অফিসের একজন বড় কর্মচারি, চাইলেই কিন্তু আপনি এই কাজ আপনার ছেলেকে বা মেয়েকে বংশ পরিক্রমায় দিয়ে দিতে পারবেন না। কিন্তু যদি ফ্রিলান্সিং আপনি ভালো করতে পারেন, এবং আপনার এই কাজের প্রতি আপনার ছেলে বা মেয়ের আগ্রহ থাকে তবে তারাও হতে পারে একজন সফল ফ্রিলান্সার।
0 মন্তব্যসমূহ